হরিণ , ময়ূর এর পর লকডাউনের মধ‍্যে উদ্ধার ময়াল সাপ বাঁকুড়ায়

4th May 2020 বাঁকুড়া
হরিণ , ময়ূর এর পর লকডাউনের মধ‍্যে উদ্ধার ময়াল সাপ বাঁকুড়ায়


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  করোনার জন্য মানুষ যত বেশি করে ঘরে থাকা শুরু করেছে বন্যপ্রাণীরাও তত বেশি করে স্বাধীনতার স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছে। হরিণ ও ময়ূরের পরে এবার বাঁকুড়ার সোনামুখি ব্লকের তিউরা গ্রামে মাছ ধরার জালে ধরা পড়ল বিশাল বড় মাপের একটি ময়াল। পুকুরে এত বড় সাপ দেখার পরে এলাকার লোকজন শঙ্কিত। সোনামুখির তিউরা গ্রামের পাশে একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন গ্রামেই কয়েক জন যুবক। সেই সময় মাছ ধরার জালে জড়িয়ে যায় ওই ময়ালটি। এলাকার লোকজনের দাবি ময়ালটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুট। সেটিকে স্থানীয়রা জাল সহ নিয়ে যান গ্রাম লাগোয়া বনের ধারে। পরে সেখানে ময়াল সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোনামুখির রেঞ্জার দয়াল চক্রবর্তী সোমবার সকালে জানিয়েছেন ময়াল ধরা পড়ার ব্যাপারে কেউ বন দফতরে কোনও খবর দেয়নি। তবে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

লকডাউন চলাকালীন বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকালয়ে বন্যপ্রাণী চলে আসার খবর পাওয়া গেছে। সম্প্রতি শালতোড়ায় একটি হরিণ ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এর আগে বেলিয়াতোড়, সারেঙ্গা প্রভৃতি জায়গাতেও হরিণ বেরিয়েছে। সব মিলিয়ে দেড় মাসের কম সময়ে চারটি হরিণ লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। একটি হরিণ আবার কুকুরের তাড়া খেয়ে পুকুরে নেমে পড়ে। তার শরীরে ক্ষত তৈরি হয়েছিল। বন দফতর সেই হরিণটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করে। সম্প্রতি পাত্রসায়রে একটি গ্রামের ভিতরে চলে এসেছিল ময়ূর।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।